খলিল চৌধুরী, জেদ্দা, সৌদিআরব: চলিত বছরে সাম্প্রতিক সময়ে মসজিদ নামিরা ঘিরে আরাফাত ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয় মুসলিমদের ফরজ ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ পবিত্র হজ্ব। এ হজ্ব বিশ্বের ১৬৮-টি দেশের ২৩-লাখ ৭১-হাজার ৬৭৫ জন ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। সৌদি আরবের স্থানীয় ৬ লাখ ১২-হাজার ৯৫৩ জন। এর মধ্যে ১৩-লাখ ২৭-হাজার ১২৭ জন পুরুষ ও ১০লাখ ৪৪-হাজার ৫৪৮ জন নারী। এ মধ্যে বাংলাদেশের ১-লাখ ২৭-হাজার ২৯৮ জন। তার মধ্যে ১০২-জন হাজী মৃত্যু বরণ করেন জানাযায়।
বাংলাদেশে ১৪৮২ ট্রাভেল এজেন্সি রয়েছে। ২০১৮-সালে চলিত বছরে সৌদিআরব-বাংলাদেশ হজ্ব মিশন কাজ করে ৫৪২ টি এজেন্সি বেসরকারিভাবে হজ্বে হাজীদের বহিগমন বিষয় কাজ করে। এ ৫৪২টি এজেন্সির মধ্যে হাজীদের প্রতারনা, ব্যাপক অনিময় ও চরম অবহেলার কারণে ১৫-এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এসেছে। হাজীদের দর্ভোগ-এজেন্সি মালিকদের প্রতারণা শিকার প্রথমে এসে মক্কা-মদিনায় হোটেল খোজে পায়নি, হোটেলে যে সৌদি মোয়ল্লাম নম্বর থাকার কথা তা ছিলনা। হাজীরা হয় রাস্তায় নয় হেরামে। মিনা যেতে হাজীদের কষ্টের শেষ ছিলনা সেখানে গিয়ে তাবু পায়নি, ছিল বাইরের রাস্তায়। বিভিন্ন সমস্যায় নিয়ে অভিযুক্ত ১৫- ট্রাভেল এজেন্সি থেকে আসা হাজীদের দুর্ভোগের শেষ ছিলনা।
হাজীদের অভিযোগ- আমরা কোনো মোয়াল্লাম পাইনি, মিনা, মোজদালিফা ও আরাফাতে এ সব এজেন্সি থেকে আসা অনেক হাজী পথ হারিয়ে গিয়ে ছিলাম, কিন্তু এজেন্সি মালিক বা কোনো হজ্ব কর্মীর সহযোগিতা পাইনি। অসুস্থ হয়েছে অনেকে সহযোগিতা না পাওয়া হাসপাতালে যেতে পারে নাই।
হাজীরা আরো বলেন, আগামীতে আমাদের মত যাতে আর কোনো হাজী এভাবে হয়রানি বা দর্ভোগ শিকার না হয় বাংলাদেশ হজ্ব মিশন ও সৌদিআরব হজ্ব পরিচালকে প্রতি অনুরোধ থাকবে এ সব এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়। এ ব্যাপারে মক্কা বাংলাদেশ হজ্ব মিশন কাউন্সিল মুহাম্মদ মুকসুদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে এজেন্সির বিরুদ্ধে হাজীদের অভিযোগের কথা শিকারে করে এ প্রতিবেদকে বলেন, এ সব ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দুঃখজনক। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে খুব শিঘ্রই বাংলাদেশ-সৌদিআরব যৌথ আইনী ব্যবস্থা নিব।
হজ্ব এজেন্সি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও চট্টগ্রাম অঞ্চল সচিব মাহামুদুল হক পেয়ারু সাথে হাজীদের দুর্ভোগ বিষয় সরাসরি যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এবার হজ্বে ৫৪৮-টি এজেন্সি কাজ করে তবে বেশকয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সি হাজীদের দু’ভোগের শেষে ছিলনা এটা আমাদের এজেন্সি মালিকদের জন্য খুবই দুঃখ জনক। আমি নিজেই অনেকে ফোন করছি। যে সব অভিযুক্ত এজেন্সি বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে (হাব) হজ্ব মিশনকে সহযোগিতা করবে। ভবিষ্যৎ যাতে কোনো এজেন্সি এ ধরণের কাজ করতে না পারে।