প্রবাস মেলা ডেস্ক: ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ছিল অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদের ১১তম প্রয়াণদিবস। এই উপলক্ষে ‘উত্তরসূরী: নুরজাহান-সারওয়ার মুরশিদ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় একটি বিশেষ বক্তৃতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার বিকেল ৫টায় ঢাকাস্থ ধানমন্ডি ২৭ এ বেঙ্গল শিল্পালয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুরশিদের কর্ম জীবনসহ বর্ণিল ক্যারিয়ার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে একাডেমিক অ্যাক্টিভিজম এর প্রাসঙ্গিকতা শীর্ষক আলোচনায় প্রধান বক্তা ছিলেন এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি ছাড়াও আলোচনা করেন লেখক ও অধ্যাপক হাসনাত আবদুল হাই। অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, অধ্যাপক ফিরদৌস আজীমসহ বেশ কয়েকজন। উক্ত আলোচনা সভার সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
বক্তারা বলেন, ভাষা আন্দোলনসহ যখন প্রয়োজন হয়েছে তিনি সামনে এসেছেন নেতৃত্ব দিতে। মুক্ত চিন্তা বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় দেশ ও সমাজ গঠনে কাজ করেছেন এই গুণি।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ৫০-৬০ এর দশকে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ অতটা সহজ ছিল না। সময় বদলেছে দেশ স্বাধীন হয়েছে, দেশ এগিয়েছে অনেক দূর। কিন্তু দেশে সেই বুদ্ধিজীবীদের মান অনেক কমেছে, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা আগের মতো নেই ঢাবিতে।
হাসনাত আবদুল হাই বলেন, গণতন্ত্রচর্চা আমাদের লক্ষ্য। গণতন্ত্র চর্চা হচ্ছে না। দলীয় চর্চা চলছে। নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। তারা ভুলে গেছে দলীয় রাজনীতি চর্চায়।
অধ্যাপক ড.আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, মুসলিমদের সরকারের সঙ্গে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় করা ঢাবি। সেখান থেকে ধর্মান্ধতার বিজবপন করা হয়েছে। হিন্দু ছাত্র শিক্ষকরা চলে গেছে ভারতে। তাদেরও শুরু থেকে শিক্ষক ছাত্রদের লক্ষ্য স্পষ্ট ছিল। সেখান থেকে এগিয়ে চলা। স্বাধীন দেশে এত সমস্যা, ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করা যায়নি।
নারী শিক্ষার প্রসার ঘটানো কষ্টের ছিলো। এখনও এগিয়ে যাচ্ছে তারা। নারী পুরষের সমতা কতটা হয়েছে দেখতে হবে। শহরে এগিয়ে গেলেও গ্রামে এখনও পিছিয়ে।
ব্রতীর প্রধান নির্বাহী এবং উত্তরসূরী’র মহাসচিব শারমিন মুরশিদ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এমন একটি সুন্দর মুক্ত আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য আমরা বেঙ্গল ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে উত্তরসূরী’র সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই উক্ত অনুষ্ঠানটি সাফল্যমন্ডিত করার জন্য।