সিডনি, অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়ার মাল্টিকালচারাল কমিউনিটিতে ‘হোয়াইট রিবন অস্ট্রেলিয়া’ অ্যাম্বাসেডর হিসাবে সম্মাননা পেলেন আবুল কালাম আজাদ খোকন। এই অ্যাওয়ার্ডটি হোয়াইট রিবন অস্ট্রেলিয়া অ্যাম্বাসেডর হিসাবে প্রদান করা হয়। ১৭ এপ্রিল টনি বার্ক এমপি ও সাবেক অভিবাসন মন্ত্রীর অফিসে আয়োজন করা হয় কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান। মাল্টিকালচারাল কমিউনিটিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ এই এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
তিন বছর যাবৎ হোয়াইট রিবন অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে প্রতি বছর ডোমেষ্টিক ভায়োলেন্সের দুটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকেন আজাদ খোকন। একটি ২৫ নভেম্বর ‘হোয়াইট রিবন ডে’ এবং অপরটি ২৮ জুলাই ‘হোয়াইট রিবন নাইটস’ সেমিনার। শিশু ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক কাজকেই অস্ট্রেলিয়াতে ‘হোয়াইট রিবন অস্ট্রেলিয়া’ বলা হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে, অস্ট্রেলিয়াতে বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে আবুল কালাম আজাদ খোকনই প্রথম ও একমাত্র হোয়াইট রিবন অস্ট্রেলিয়া অ্যাম্বাসেডর। আজাদ খোকন তার ভালো কর্ম দিয়ে কমিউনিটিতে বিভিন্ন সময় বিশেষ ভূমিকা রাখায় এই অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত হন। তিনি সিডনিতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা ল্যাকান্বাতেও নিজের শ্রম ও মেধা দিয়ে সচল রেখেছেন কমিউনিটি। সংবাদিক ও সম্পাদক আজাদ খোকন বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগে সহকারী নার্স। হোয়াইট রিবন অস্ট্রেলিয়া অ্যাম্বাসেডর হিসাবে কাজ করেন। মানসিক স্বাস্থ্য ও মাইন্ডফুলনেসের এডুকেটর তিনি।
প্রবাসে তিনি ১০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে কাজ করছেন। অস্ট্রেলিয়ার কমিউনিটিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বহুবার সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার নোমিনেশন সার্টিফিকেট, সিটিজেন অব দ্য ইয়ার নোমিনেশন সার্টিফিকেট, ভলেন্টারি অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড, হারমনি ডে অ্যাওয়ার্ড, স্টার অ্যাওয়ার্ড, কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড, পার্লামেন্ট অ্যাওয়ার্ডসহ ৬০টির মতো সন্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি। এছাড়াও যারা বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে থেকে একই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- নবধারা নিউজ, হোয়াইট রিবন বাংলাদেশ, বাংলা হাব ইনক এবং বাংলা মিউজিক এন্ড ডান্স ছিলেন। এই অ্যাওয়ার্ড অর্জনের অনুভূতি তিনি বলেন, “যে কোন মর্যাদা প্রাপ্তি অবশ্যই আনন্দের, এটি কাজের মূল্যায়ন এবং যে কোন মূল্যায়ন কাজের গতিকে ত্বরান্বিত করে।“